‘অভিযুক্তদের তালিকাটা পাঠান, আমি সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে সরকার। অভিযুক্তদের তালিকাটা আপনারা পাঠান, আমি সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো। বিনিময়ে ‘লকডাউন’ তুলে নিন। আজ (২২ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, লকডাউনে’র অজুহাতে যেসব মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কোরআন-হাদিসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, সেগুলো খুলে দিন। যাতে কোরআন-হাদিসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের ওপর আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকি ১১ মাসের তুলনায় রমজান মাসে সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগির ফজিলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর।
তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হেফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের ওপর। রমজানের এ পবিত্র মাসে ফিতনা-ফ্যাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদের দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে।
বিবৃতিতে দেশবাসীর উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সবসময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল। ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারাদেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এইসব মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দি সব আলেম ওলামাদের মুক্তি দিন।