অর্ধশত শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমীর ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল ঊলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ অর্ধশত শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। বুধবার (১৯ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করা অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, সিনিয়র নায়েবে আমীল মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমীর ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ।
ইতোমধ্যে দুদকের পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের নেতৃত্বে হেফাজতের অর্ধশত নেতার সম্পদ অনুসন্ধানে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, নূরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইদুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান।
জানা গেছে, হেফাজতের অর্ধশত নেতাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের তহবিল, বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা এবং ধর্মীয় কাজের জন্য আসা বিদেশি সহায়তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যাচাই-বাছাইয়ে এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকার লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও সম্পদের অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এই নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমে পড়েছে দুদক। এদিকে বাবুনগরীসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।