আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, এখন তারা ঘরে বসে বসে বিবৃতিই দিয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যখন তাদের বুদ্ধি খোলে কিংবা পরামর্শ দেন, তার আগেই কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে নেয়। দেশের মানুষকে আমরা অনুরোধ করব, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, অন্যকেও সুরক্ষিত করতে হবে। আমরা টিকা দিচ্ছি এবং টিকা আরও নিয়ে আসছি। যত টাকা লাগুক আরও টিকা নিয়ে আসব। আমরা এ দেশের মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেব। কিন্তু আপনাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার যেসব নির্দেশনাগুলো আমরা দিচ্ছি, সেটা দয়া করে আপনারা মেনে চলবেন।

আজ (২ মে) রবিবার সকালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রতিদিন বক্তৃতা-বিবৃতি বা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে, দুর্যোগে মানুষের পাশে কোথায় তারা? কয়জন দুর্গত মানুষের মুখে তারা খাবার তুলে দিয়েছে? কয়জন মানুষের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে? কয়জন মানুষের কাফনের কাপড় তুলে দিয়েছে? কেউ নেই।শক্তিশালী বিরোধীদল গড়তে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠী, দল অথবা যারাই আছেন, প্রতিদিন কীভাবে সরকার উৎখাত করবেন, সেই চিন্তা-ভাবনা করেন, তাদের এটা করতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের বিশ্বাস-আস্থা অর্জন করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আ.লীগ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। মানুষকে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে। সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে। ধান কাটার সমস্যা। আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ মানুষের ধান কেটে দিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে এসব পরিবারের কাছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর করোনা মহামারির কারণে যেসব নিম্নআয়ের লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তাদের সহায়তার জন্য ‘নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবারপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৮৮০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!