আশুরার দিনে আমাদের করণীয় আমল হচ্ছে, রোজা রাখা

মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, সৃষ্টির শুরু থেকে মুহররমের ১০ তারিখ তথা আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, আসমান ও জমিনসহ সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রাথমিক বিভাজন প্রক্রিয়ার সূচনা হয় আশুরায়। হযরত আদম আ. এর সৃষ্টি ও পৃথিবীতে অবতরণ, মহাপ্লাবনের সময় হযরত নুহ আ. এর নৌযানের যাত্রা শুরু এবং প্লাবনের পরিসমাপ্তি এই আশুরাতেই ঘটেছিল। হযরত মুসা আ. ও বনী ইসরাঈলের সমুদ্রপথে রওনা এবং অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভের দিনটি ছিল আশুরা। এরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ সা. আশুরার দিনে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার কথা বলেছেন। আজ (১৩ আগষ্ট) শুক্রবার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, অনেকেই ধারণা করেন, আশুরার ফজিলত কারবালার প্রান্তরে নবীজীর সা. দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা. এর শাহাদাতের সাথে সম্পৃক্ত। অথচ বিষয়টি তেমন নয়। বরং আশুরার ফজিলত হযরত আদম আ. এর যুগ থেকেই। এ দিনে আমাদের করণীয় আমল হচ্ছে, রোজা রাখা। তবে এর সাথে ৯ বা ১১ তারিখ মিলিয়ে রাখা। কারণ নবী কারীম সা. ইরশাদ করেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখ। তবে এ ক্ষেত্রে ইয়াহুদীদের থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করতঃ আশুরার পূর্বে অথবা পরের একদিনসহ রোজা রাখবে। (মুসনাদে আহমাদ-হা. নং ২৪১)। এ রোজার ফজিলত অনেক। নবী কারীম সা. ইরশাদ করেন “আমি আশাবাদী, আশুরার দিনের রোজার উসীলায় আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন ‘ (তিরমিযী-হা. নং ৭৫১)। এই দিন বেশী বেশী তওবা ইস্তিগফার করা। দ্বীনের খাতিরে হযরত হোসাইন রা. যে ত্যাগ-তিতিক্ষা পেশ করেছেন তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দ্বীনের জন্য যে কোন ত্যাগ ও কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফকি দান করেন। আমীন।



