ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব হলো সবার সঙ্গে সর্বোত্তম আচরণ করা
মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। আর ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব হলো সবার সঙ্গে সর্বোত্তম আচরণ করা। এজন্য আমরা দেখতে পাই, একমাত্র ইসলামই অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত এবং তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গোটা জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং-১০৭)। তাই তিনি কখনও ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠী বিচারে কারো প্রতি জুলুম করেননি। আজ (২৯ অক্টোবর) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, যরত সুফিয়ান ইবনে সালিম রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘জেনে রেখ! কোনো মুসলমান যদি অমুসলিম নাগরিকের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করে, কোন অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করে, তার কোন জিনিস বা সহায় সম্পদ জোরপূর্বক কেড়ে নেয়; তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় আমি তাদের বিপক্ষে অমুসলিমের পক্ষে অবস্থান করব।’ (আবু দাউদ)। তিনি অন্যায়ভাবে অমুসলিমের জানমালের ওপর হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এর পরিণতি হবে জাহান্নাম। হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. বর্ণনা করেন, নবীজী সা. ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোন অমুসলিমকে হত্যা করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে নবীজী সা. এর অনুপম চরিত্র মাধুর্যের ব্যাপারে ইরশাদ করেন, “আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা আল কলম, আয়াত নং-৪)। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন “উত্তম চরিত্র মাধুর্যের পূর্ণতাদানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।” তাই তিনি সর্বদাই মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সম্মান করেছেন। হোক সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম। হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, একবার বিশ্বনবীর সা. সামনে দিয়ে এক ইয়াহুদির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি ওই লাশের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন জাবের রা. বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটা তো ইয়াহুদির লাশ! তখন তিনি বললেন, সে কি মানুষ নয়?’ (বুখারি)। সুতরাং আমাদের উচিত ইসলামের সুমহান আদর্শগুলো গ্রহণ করা এবং নবীজী সা. এর উদার নীতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।