“একটি দুষ্টচক্র দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টে তৎপর”
ঢাকাসহ ৩ জেলায় ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা

টিপ কেলেঙ্কারি, মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞানের ক্লাসে হিন্দু শিক্ষকের ধর্ম অবমাননা, নওগাঁয় হিজাব পরায় ছাত্রীদের হিন্দু শিক্ষিকার বেত্রাঘাত, কবি নজরুল কলেজে অধ্যক্ষ কর্তৃক তারাবীহ’র নামাজে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা এবং ঢাবিতে শিক্ষক কর্তৃক হিজাব পরতে বাধা প্রদান ও ঢাবি ছাত্রীদের নামাজ ও হিজাবের অধিকার দাবী করার বিপরীতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে আজ ০৮ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে একের পর এক ঘটনার জন্ম দেওয়া হচ্ছে। সবগুলো ঘটনাই পবিত্র মাহে রমজানে সংগঠিত হচ্ছে। এতে বোঝার বাকি থাকে না যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে এক শ্রেণীর দুষ্টচক্র ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে। মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলার অপচেষ্টা করছে।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, ধর্মপরিচয় দিতে কুণ্ঠিত হওয়া ও ধর্মবিদ্বেষের পথে হাটা ছাত্রলীগের গোড়ার দর্শন না হলেও বর্তমানে এটাই তাদের রাজনৈতিক পুঁজি হয়ে উঠেছে। ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা, অনাস্থা, বিদ্বেষ লালন করে বৈদেশিক আনুকূল্য, ধর্মবিদ্বেষ ও গোঁড়া দলান্ধতার পথে হাটলে ধর্মপ্রাণ মানুষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সেভাবেই মূল্যায়ন করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুংসহ বিভিন্ন চিন্তা ও দর্শন চর্চা হতে পারলে ইসলাম ও মুহাম্মদ স. এর দর্শন ও আদর্শ চর্চা হবে বলেও নেতৃবৃন্দ জোর দাবি ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সাম্প্রতিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রশাসনকে দেশ ও ধর্মবিরোধী এ দুষ্টচক্রের বিষয়ে তৎপর থাকতে আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি নওগাঁ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় প্রতিবাদী মানববন্ধন ও ঢাকায় প্রতিবাদী মিছিল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।