এ সমাজে পিতৃপরিচয়হীন সন্তান জন্মদানকারী মা অভিনন্দন পান – শায়খ আহমাদুল্লাহ

এ সমাজে পিতৃপরিচয়হীন সন্তান জন্মদানকারী মা গর্ব করেন। কুকীর্তির কারণে ভর্ৎসনার বদলে অভিনন্দন পান। অথচ লজ্জাশীলা নারীকে পর্দা করে চলতে বিব্রত হতে হয়। তাকে নিয়ে ট্রল করা হয়।

একটা সময় ছিল মদ্যপ ও ব্যভিচারী তার কর্মের কারণে লজ্জিত থাকতো। এখন ব্যভিচার শুধু শিল্প নয়, সাহসিকতার বিষয়ও বটে! নোংরামি এখন শুধু স্বাভাবিক নয়, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি কিছু। নিজের স্ক্যান্ডাল ফাঁস কিংবা অসামাজিক কীর্তির ফিরিস্তি প্রকাশ পেলেও এখন লজ্জায় মাথা নিচু হয় না। বরং জগত জয় করা হাসি ঝুলতে দেখা যায় মুখে। একজন ফেরেশতার মতো নিরপরাধ মানুষও মিথ্যা অপবাদের শিকার হলে তার চোখেমুখে বিষন্নতা ও জড়তার ছাপ থাকে। নিরপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত মুখে নির্মল হাসি ফোটে না। কিন্তু হায়, কী দেখছি আমরা!

এভাবেই শয়তান তার ক্রীড়নকদের দিয়ে অপকর্ম আর বেহায়াপনাকে সমাজে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করে, লাজ-লজ্জা তুলে দেয়। এমন সমাজে ভালো মানুষদেরই বরং মাথা নিচু করে চলতে হয়। পর্দা মেনে চলতে চাওয়া মেয়েটা তাই সমাজে হাসির পাত্র, আর বহুগামী নারীরা সাহসী! নিজেকে নোংরা কল্পনার হাত থেকে রক্ষাকারী, আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারী সেকেলে ও বন্দিদশায়, আর খোলা খাবারের মতো রাস্তার মাছিদের খোরাক হওয়া আধুনিকতা ও স্বাধীনতা!

আসলে পৃথিবী তার পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেজন্য মহানবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলো দ্রুততার সাথে একে একে বাস্তবায়ন হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, কেয়ামত ঘনিয়ে এলে ব্যভিচারকে বৈধ গণ্য করবে মানুষ, (পুরুষদের তো বটেই, এমনকি লজ্জাবতী) নারীদের চেহারা থেকে লজ্জা উঠে যাবে।

পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের জন্মদানকারীকে (তার কুকর্মের কারণে) অভিনন্দন জানানো লোকগুলো কিন্তু ‘জারজ’ তকমা শুনলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে। কী অদ্ভূদ দ্বিচারিতা!

যখন পৃথিবীতে ‘সত্য ও সুন্দর’ টিকে থাকার সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে, তখনই মহান মালিক তাঁর সৃষ্টিজগত গুটিয়ে নিবেন। মহাফিতনার ভয়াল এই স্রোত থামানো আমাদের কর্তব্য নয়, তবে চেষ্টা করাটা অবশ্য কর্তব্য।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!