কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন কয়েকশ মানুষ। বিশেষ এ নামাজে ওই গ্রামের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।
আজ (২৮ এপ্রিল) বুধবার সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির জন্য উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের খরেলার বিলের পাশে মাঠে দুই রাকাত ইসতেস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ২৮ ও ২১ এপ্রিল সকালে একই উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মাঠে ইসতেস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কুষ্টিয়ার মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে, নদী-খালের পানি তলানিতে ঠেকেছে বৃষ্টির অভাবে। অনেক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন তারা। বৃষ্টির জন্য ইসতেস্কার নামাজের পর মোনাজাতে তারা বারবার বলতে থাকেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি বৃষ্টি দান করেন। হে আল্লাহ, আপনি বৃষ্টি দেন।’
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চৌরঙ্গী বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. জুবায়ের। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে পানি প্রার্থনা করে দোয়া করা সুন্নত।
মুসল্লিরা বলেন, আল্লাহ সৃষ্টির কল্যাণে আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন। কোরআনের অনেক জায়গায় আসমান থেকে পানি বর্ষণের কথা উল্লেখ আছে। বৃষ্টির পানি বর্ষণের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের জন্য রিজিকের ফয়সালা করেন।
স্থানীয়রা বলেন, এ বছর অনাবৃষ্টি কারণে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েন। প্রচণ্ড গরম পড়ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়।
বৃষ্টি প্রসঙ্গে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) যিনি তার রহমতের (বৃষ্টির) প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদ বাহকরূপে প্রেরণ করেন। যখন তা ঘন মেঘ বহন করে তখন আমি (আল্লাহ) তা নির্জীব ভূখণ্ডের দিকে চালনা করি। পরে সেটা হতে বৃষ্টি বর্ষণ করি। তারপর তার দ্বারা সব ধরনের ফল-ফসল উৎপাদন করি।’ হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সা. বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি তোমার বান্দাকে এবং তোমার পশুদের পানি দান কর। আর তাদের প্রতি তোমার রহমতের বর্ষণ কর এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত কর।’