আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলনের শোক
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল ঊলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শিক্ষা পরিচালক এবং শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম এবং জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক জানান।
শোকবার্তায় চরমোনাই পীর বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শাইখুল হাদীস হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। ইলমী ও বিনয়ী কথাবার্তায় তিনি সবাইকে খুব সহজেই মুগ্ধ করতে পারতেন। তিনি একজন মানব দরদি, নম্র-ভদ্র, সরল মনের অধিকারী ছিলেন। আল্লামা বাবুনগরী ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্ভরযোগ্য আলেমদের মধ্যে একজন। তার ইন্তেকালে দেশের ঈমানদার জনগণ একজন খ্যাতিমান ধর্মীয় অভিভাবক হারালেন। তিনি হাজার হাজার আলেম গড়ে তুলেছেন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে ইলমে নববীর আলো বিতরণ করে গেছেন; যার অভাব দীর্ঘদিন অনুভুত হবে।আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবদেনা জ্ঞাপন করেন। আল্লাহ তা’য়ালা হযরতকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সবরে জামিল এখতিয়ারের তৌফিক দিন, আমীন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা। ৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। এর আগে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে গাড়িতে বসেই বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।