দারিদ্র বিরোধী লড়াইয়ে ইসলামি শাসন বিজয়ী হয়েছিল
মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, ইসলামী অর্থব্যবস্থাই দারিদ্র্য বিমোচনের উত্তমপন্থা। দারিদ্র নামক আপদ থেকে মুক্তির আশায় প্রাচীনকাল হতে চলছে মানবজাতির নিরন্তর লড়াই। আজও দারিদ্র বিমোচন প্রত্যেক রাষ্ট্র ও সরকারের মূল প্রতিপাদ্য কর্মসূচি। মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়েক যুগের ভেতর ইসলামি খেলাফত অধ্যুষিত বিশাল জনপদ হতে দারিদ্র লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল। যাকাত গ্রহণের জন্য তখন লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইসলামি শাসন বিজয়ী হয়েছিল দারিদ্র বিরোধী লড়াইয়ে। আধুনিক যুগের মানুষের কাছে এ এক বিস্ময়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বর্তমান যুগের মানুষ যেখানে দারিদ্র দূরীকরণে ব্যর্থ হচ্ছে। কোন নীতি ও পাথেয় গ্রহণের কারণে তারা বিজয়ী হয়েছিল? এর উত্তর হচ্ছে, ইসলামী অর্থব্যবস্থার মাধ্যমেই তারা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনালি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল খেলাফত রাষ্ট্রপ্রধানরা। আজ (৪ জুন) শুুক্রবার মিরপুরের বাইতুল আমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, দারিদ্র বিমোচনেও ইসলাম সুন্দরতম দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। শুধু পরকালীন শান্তি নয়, ইহকালীন জীবনেও সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন পরিচালনার কথা বলে ইসলাম। ইসলাম যেমন নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের কথা বলে, তেমনি অর্থনীতির কথাও বলে। সুদের ভয়াবহ পাপ ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানবসমাজকে রক্ষা করার জন্য ইসলামী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ইসলামী অর্থব্যবস্থা ছাড়া পৃথিবীতে যতগুলো অর্থব্যবস্থা রচিত হয়েছে যেমন পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা ও কমিউনিজম অর্থব্যবস্থা, দারিদ্র বিমোচনে এগুলো চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। একমাত্র ইসলামী অর্থব্যবস্থাই দারিদ্র বিমোচনে শতভাগ সফলতার পরিচয় দিয়েছে। যাকাত” দরিদ্র ও অভাবী জনগোষ্টীর সামাজিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা নামাজ কায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর, (সূরা বাকারা)। সুতরাং দারিদ্রপীড়িত মানুষের অভাব মোচনে যাকাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলামী অর্থব্যবস্থাই দারিদ্র বিমোচনের উত্তমপন্থা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন!