দেশের মানুষের জন্যই ফিরে এসেছিলাম : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসার পর থেকে অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হতে হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসেছি ঝড় মাথায় নিয়েই। সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় হচ্ছিল, তখন আমি ট্রাকে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়। এ দেশের মানুষের জন্যই তিনি ফিরে এসেছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর যেখানেই গেছেন, মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছে। এ সময় তিনি সারা দেশের আ’লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আজ (১৭ মে) সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিয়ে নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় যুক্ত হন তিনি।

স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি ও যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার আমার বাবা শুরু করেছিলেন, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা তখন ক্ষমতায়। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় কিন্তু আমি চলে এসেছিলাম, আমি কোনো কিছুই চিন্তা করিনি। এই স্বাধীনতাকে আমার সফল করতেই হবে—এ রকম একটা প্রতিজ্ঞা সবসময় আমার আর রেহানার (প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা) মধ্যে ছিল।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরই তিনি ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!