নারীর খোলামেলা পোশাক নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

সংক্ষিপ্ত ও খোলামেলা পোশাক যদি কেবল ব্যক্তি-স্বাধীনতার বিষয় হতো, তাহলে পুরুষরাও মেয়েদের মতো খোলামেলা ও সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে বেড়াত। পুরুষ স্বাভাবিক পোশাক পরলেও শীতের কষ্ট কিংবা গ্রীষ্মের গরমেও নারীকে শর্টকার্ট পোশাকে রাখতেই স্বচ্ছন্দবোধ করে আজকের শয়তানী সভ্যতা। নারীকে স্বাধীনতা দেওয়ার নামে কী চাইছে তারা, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে?

যে স্বাধীনতা ব্যক্তি ও সমাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তা কখনো অনুমোদিত হতে পারে না। এ কারণেই ইসলাম পুরুষের জন্য চোখের পর্দা আর নারীর জন্য সৌন্দর্যের পর্দার নির্দেশ দিয়েছে।

ব্যাংক থেকে কাড়ি কাড়ি টাকার বাণ্ডিল উত্তোলনের পর স্বচ্ছ পলিথিনে ঝুলিয়ে রাস্তায় হাঁটলে বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। এক্ষেত্রে আমার টাকা কীভাবে বহন করবো, সেটা আমার চয়েজ—এমন অসার যুক্তি কেউ দেয় না। স্বচ্ছ পলিথিনে টাকা বহন করলেই তা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া যেমন অপরাধ, তেমনি স্বচ্ছ পলিথিনে টাকা বহন করাও অপরাধ সংঘটনে সহায়ক কাজ।

নিজেকে নিয়ে কেউ নোংরা কল্পনা করুক কোনো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী তা চায় না। তেমনিভাবে কোনো আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন পুরুষ তার পরিবারের মেয়েদের পরপুরুষের চোখ ও কল্পনার খোরাক হওয়া সহ্য করতে পারেন না।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পুরুষের চারিত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি নারীর যৌন নিপীড়নের অন্যতম কারণ হচ্ছে নারীর অশ্লীল পোশাক। যৌন উম্মাদনা সৃষ্টি হয় এমন যে কোনো কিছু পুরুষের পশুত্বকে জাগিয়ে তোলে। অশ্লীলতা চর্চাকারী নারীর কারণে একজন ভালো নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য অশ্লীলতা কারো ব্যক্তি-স্বাধীনতার বিষয় নয়।

এজন্য ব্যক্তি-স্বাধীনতার জিগির তুলে নারীকে পণ্যে পরিণত করা কথিত উন্নত দেশগুলোতে নারীরা নিরাপদ নন; বরং যৌন নিগ্রহের ঘটনা সেসব দেশে নিত্ত-নৈতমত্তিক ব্যপার।

অনেকে বলেন, নারীকে খোলামেলা পোষাকে দেখলেই যাদের মনে বাজে চিন্তা আসে, এটা তাদের চারিত্রিক দুর্বলতা, তারা খারাপ মানুষ। তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে কেন অন্যকে (পর্দায়, অর্থাৎ) শালীনভাবে চলতে হবে? বাস্তবতা হলো, এটা প্রকৃতিগত বিষয়। এটাকে অস্বীকার করা লোক হয়তো মিথ্যাবাদি নয়তো নপুংষক।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!