নিয়মিত সীরাত পাঠের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি
ধর্ম ডেস্ক : মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, হিজরী বছরের গুরুত্বপূর্ণ মাস রবিউল আউয়াল মাসে আমরা নিয়মিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সীরাত পাঠের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি। কারণ সীরাত পাঠের একটি অনন্য প্রাপ্তি হচ্ছে ঈমান বৃদ্ধি। আজ (১ অক্টোবর) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সাক্ষী যে, পবিত্র সীরাত যুগে যুগে অসংখ্য মানুষকে ঈমানের পথ দেখিয়েছে। সৌভাগ্যবান মুমিনের জন্য পবিত্র সীরাতের অধ্যয়ন ও আনুগত্য যে মর্যাদাপূর্ণ প্রাপ্তি নিয়ে আসে তা হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও ভালোবাসা। যে ভালোবাসার কারণে লাভ হবে জান্নাতে তাঁর সঙ্গ ও সান্নিধ্য। মুমিন যতই তাঁকে জানবে ততই তাঁর মহানুভবতার সাথে পরিচিত হবে, মানবজাতির প্রতি তাঁর মহাঅনুগ্রহের দিগন্ত ততই তার সামনে উন্মোচিত হতে থাকবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতকে ভয় করে বা এ বিষয়ে আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আহযাব : আয়াত নং-২১)। আসুন, তাঁর সে আদর্শ জানার লক্ষ্যে আমরা সীরাত বিষয়ক গ্রন্থসমূহ পাঠ করি এবং তার আলোকে নিজেদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম সহনশীলতার ধর্ম, মানবতার ধর্ম। ফলে এদেশের অমুসলিমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশেই বসবাস করছে। এ পরিবেশ বজায় রাখতে তাদেরও কিছু কর্তব্য আছে। এসব কর্তব্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এদেশের সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা এবং যে কোনো ধরণের কটূক্তি, উত্তেজনাকর বা আপত্তিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকা। রাষ্ট্রের দায়িত্ব ইসলাম ধর্ম, নবীজী সা. এবং কোরআন অবমাননাসহ এ ধরণের গর্হিত কাজ থেকে নিষেধ করে এর অশুভ পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।