বদর দিবস; মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠার দিন

মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস। ইসলামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দিন। মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী শেষ নবী মুহাম্মদ সা.-এর নেতৃত্বে হিজরী দ্বিতীয় সনে রমজান মাসের ১৭ তারিখে সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক এ বদর যুদ্ধ। এ সম্মুখ যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ যুদ্ধে মাত্র ৩১৩ জন মুসলমান যোদ্ধা মক্কার ১ হাজার সশস্ত্র প্রশিক্ষিত কাফের যোদ্ধার মোকাবেলায় বিজয় অর্জন করে। আজ (৩০ এপ্রিল) শুক্রবার ঢাকার ঢাকা মিরপুর ব্লক-ডি বাউনিয়াবাদ বাইতুল আমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফিরোজী বলেন, আল্লাহ তায়ালা এ যুদ্ধ সম্পর্কে কুরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই দু’টি দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল কাফেরদের। এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে দৃষ্টিবানদের জন্য। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ১৩)। মুসলমানদের ঈমানি শক্তির কাছে কুফরি শক্তির শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে সেদিন রচিত হয়েছিল ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয় ইতিহাস। এ যুদ্ধের পর থেকে ইসলামের বিজয়ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র আরবে এবং পতনঘণ্টা বেজে উঠেছিল বিশ্বের দাম্ভিক শক্তি সমূহের।
তিনি বলেন, আজকে সারা বিশ্বে মুসলমানরা ইসলাম বিদ্বেষীদের হাতে মার খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মুসলমানরাই। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মিয়ানমারের আরাকানের দিকে তাকালে মনে হয় যেন মুসলমানরাই একমাত্র সেই জাতি যাদের জীবন, সম্পদ, ঘরবাড়ি এবং তাদের মা-বোনদের ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই। আজ সারা বিশ্বে মুসলমানদের এই চরম দুর্দশার একমাত্র কারণ হলো মুসলমানদের ঈমানি দুর্বলতা এবং কাপুরুষতা। মুসলিম বিশ্ব আজ বহুদাবিভক্ত। মুসলমানরা আজ তাগুতি শক্তির ক্রীড়নক। সুতরাং আমরা যদি বদরের মহান বিজয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং হযরত সাহাবায়ে কেরামদের ঈমানি চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারি, তাহলে আজও পৃথিবীতে ইসলামের পতাকা উঁচু থাকবে। ইনশাআল্লাহ!