বাবুনগরী-জিহাদীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের বিলুপ্ত ও আহ্বায়ক কমিটি অবৈধ

আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল ঊলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলূম, খিলগাঁও’র মুহতামিম মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমীর ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ। আজ (৩১ মে) সোমবার বিকালে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, আমি মাওলানা আবদুল হামিদ (পীর সাহেব, মধুপুর) শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর নীতি ও আদর্শের ওপর অবিচল আছি এবং আজীবন থাকব। ইনশাআল্লাহ। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই এবং নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রতিও আমার কোনো সমর্থন নেই। এই কমিটিকে আমি বৈধ মনে করি না।
তিনি আরো বলেন, আমি হেফাজতে ইসলামের মোদি বিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মধুপুরে অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলীর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন মেজর জেনারেল আবুল কালাম হুমায়ুনের আম্মার আহত হওয়ার খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত ও ব্যথিত হয়েছি। আমি উনার সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দু’আ করছি, আল্লাহ তা’আলা উনাকে পরিপূর্ণ সল্পতা দান করুন। আমীন। বিশেষ করে মেজর জেনারেল সাহেবের বাড়িঘরসহ অন্যান্যদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ জামিয়া ইসলামিয়া হালীমিয়া মধুপুর, মুন্সীগঞ্জের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস। তিনি আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-একাংশের সহ সভাপতি তিনি।