বিপদ যত বড় হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্যধারণ করলে প্রতিদানও তত বড়

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম বলেছেন, বিপদে ধৈর্যধারণ করা মুমিনের দায়িত্ব। মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে বিপদের মুখে পড়েন। আর মনে রাখতে হবে বিপদ যত বড় হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্যধারণ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদান ও তত বড়। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা করেন, আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনও) ভয়-ভীতি, (কখনও) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনও) জানমাল ও ফলফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা, আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। সূরা বাকারা (২) : ১৫৫। অপর আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা করেন, তোমরা তোমাদের জান-মালের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষার মুখোমুখি হবে আর তোমরা আহলে কিতাব ও মুশরিকদের পক্ষ থেকে অনেক পীড়াদায়ক কথা শুনবে। তোমরা যদি সবর ও তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে অবশ্যই তা বড় হিম্মতের কাজ। সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৮৬। আজ (২৩ জুলাই) শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

পেশ ইমাম বলেন, পবিত্র কোরআনের আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে রয়েছেন। সূরা বাকারা (২) : ১৫৩। রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে, আমি যখন আমার মুমিন বান্দার কোনো আপনজনকে মৃত্যু দিই আর সে সবর করে, তখন আমার কাছে তার একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত। সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪২৪। মুমিন বান্দা নিজের কৃত অপরাধের কারণেও বিপদের মুখোমুখি হতে পারে, আবার বিপদাক্রান্ত হতে পারে প্রভুর সঙ্গে তার ভালোবাসার যাচাইস্বরূপও। যে কারণেই হোক, অনাকাঙ্খিত এ বিপদও তার জন্যে রহমত হয়ে থাকে। বিপদ যদি অপরাধের শাস্তিস্বরূপ হয়ে থাকে, তাহলে এ বিপদে ভুগে সে গোনাহমুক্ত হয়ে ওঠে। আর বিপদ যদি হয় প্রভুর প্রতি তার ভালোবাসার পরীক্ষা, তাহলে সবর করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে ভালোবাসার বন্ধন হবে আর দৃঢ়। আল্লাহপাক আমাদেরকে সর্ব ধরণের বিপদাপদ থেকে হেফাজত ও ধৈর্যধারণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!