বিশ্বনবীর পদাঙ্ক অনুসরণেই রয়েছে উভয় জগতের যাবতীয় কল্যাণ
মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসটি রাসুলুল্লাহ সা.-এর জন্ম মৃত্যুসহ নানা কারণে বিখ্যাত। মুমিনের অন্তরে রাসুলের (সা.) এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও মহব্বতের যে দরিয়া প্রবাহিত হয় তাতে রবিউল আউয়াল মাসে ঢেউ ওঠে। নবীজীর ভালোবাসার এ জোয়ারে সিক্ত হয় গোটা মুসলিম উম্মাহ। আজ (৮ অক্টোবর) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
খতীব বলেন, নব উদ্যমে সীরাতুন্নবীর চর্চা শুরু হয় সর্বত্র। সারা বছর নবীজী (সা.) এর অনুসরণ ও অনুকরণ ভুলে গিয়ে শুধু রবিউল আউয়ালে তার প্রতি ভালোবাসা দেখালে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যাবে না। কারণ হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষন আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হই। বুখারী, হাদীস নং-১৫। এ ভালোবাসার অর্থ হলো, রাসুল আমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা শক্তভাবে ধারণ করা আর যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকা।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বনবীর পদাঙ্ক অনুসরণেই রয়েছে উভয় জগতের যাবতীয় কল্যাণ। আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে নবীজীর অনুসরণের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুল! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তা’ হলেই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ভালোবাসবেন এবং গোনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল দয়াময়। সূরা আলে ইমরান, ৩১ নং আয়াত। এ কারণে দুনিয়ার প্রতিটি কথা ও কাজে শুধু বিশ্বনবীকে রোল মডেল মেনে তাঁর দেখানো সুন্নাহর পথেই সারা বছর নিজেদের পরিচালিত করতে হবে। সুন্নাত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফ্যাশন। সুন্নাহ মোতাবেক জীবনে বরকত ডানা মেলে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।