মমতার মন্ত্রিপরিষদের কে এই মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী?

ভারতীয় মুসলমানদের পক্ষে কথা বলে সাড়া জাগিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাহসী পশ্চিমবাংলা রাজ্য সভার সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলাানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এবারো তিনি পেয়েছেন গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী একটি রাজনৈতিক দলও পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক এই দলটির নাম নিখিল ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা। জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পশ্চিম বাংলা রাজ্যের সভাপতিও তিনি।

All sizes | Secretary of West Bengal State Jamiat-e-Ulama-e Hind Maulana  Siddiqullah Chowdhury and All India Secretary of Jamiat-E-Ulama-e Hind  Maulana Mahmud Asad Madani in the West Bengal State Jamiat-e-Ulama Anti  Terrorism

মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১০ জানুয়ারি। ধর্মীয় শিক্ষার বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে থেকে তিনি দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পারিবারিক একটা ঐতিহ্য আছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পরিচিত। তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (এআইটিসি) সদস্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রর প্রতিনিধি ছিলেন এতদিন। এবার মন্তেশ্বর থেকে থেকে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ১৯৮৪ ও ১৯৮৯ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে কাটোয়া আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজনীতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন। তিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিখিল ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থী হিসাবে বসিরহাট আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিজেপি সরকারের সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম প্রধান মুখ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তার দল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক-নির্বাচনী জোটে প্রবেশের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিল। মার্চ ২০১৬ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল যে তিনি মঙ্গলকোট আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

siddikulla bengali news

তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজ করেছে। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাহাজাহান চৌধুরীকে প্রায় ১২ হাজার ভোটে পরাজিত করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাকে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী করা হয় এবং গণশিক্ষা, গ্রন্থাগার এবং সংসদীয় বিষয়গুলিতে স্বতন্ত্র দায়িত্বে রাজ্য মন্ত্রীর পোর্টফোলিও দেওয়া হয়। যে সাতজন মুসলমানকে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী করা হয় তাদের মধ্যে একজন। সর্বশেষ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের এই নেতা ২০২১ সালের পশ্চিম বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন। এবার মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। এবারও তিনি অভিজ্ঞতার ঝলক দেখাতে পারবেন। কারণ গেলবারও তিনি একই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। গ্রন্থাগার বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন আবারও।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!