মানবসমাজে অশান্তি হত্যা, নৈরাজ্য, ধর্মপ্রাণ মানুষের কাম্য নয়
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানবজাতির জীবন-মরণ, মানসম্মান সবকিছুই আল্লাহর পবিত্র আমানত। কোনো ব্যক্তি যদি এ আমানতের খেয়ানত ঘটিয়ে কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে, তবে এর জন্য তাকে আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। হত্যার বদলে হত্যার কঠিন শাস্তি পেতে হবে। মানবসমাজে কোনো রকম অশান্তি হত্যা, নৈরাজ্য, উগ্রতা, বর্বরতা, কোনো বিবেকবান ও ধর্মপ্রাণ মানুষের কাম্য নয়। বিশ্বজনীন শান্তি সম্প্রীতি ও মানবজাতির জন্য কল্যাণকামীতাই হোক চিরশান্তির ধর্ম ইসলামের সকল অনুসারীদের প্রত্যাশা। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন। আমীন! আজ (৪ জুন) শুুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
পেশ ইমাম বলেন, পবিত্র কোরআনে হত্যাকান্ড মহাপাপ সাব্যস্ত করে ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জাহান্নামে শাস্তির কঠোর বিধান সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে ‘ কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয় সে অন্য মুমিনকে হত্যা করবে। আর কেউ স্বেচ্ছায় কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন ও তাকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৯২-৯৩)। সমাজে এখন দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া জনিত কারণ এবং অবৈধ সম্পর্কের কারণে হত্যা ও আত্মহত্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাকওয়া বা খোদাভীতি মনে থাকলে মানুষ কখনো কাউকে হত্যা করবে না। নরহত্যার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল।’ (সূরা আল-মায়দা,আয়াত: ৩২)। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে মোকদ্দমার ফয়সালা হবে, তাহলো রক্তপাত হত্যা সম্পর্কিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)।