মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের খুবই প্রয়োজন : আল্লামা বাবুনগরী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আজ আমরা যে মুহূর্তে ঈদের খুশি উদযাপন করছি, ঈদকে উপলক্ষ্য করে নানান আয়োজন করছি ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্বের আনাচে-কানাচে মুসলমানরা অমুসলিমদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তারা শান্তির জন্য হাহাকার করছে। ফিলিস্তিনে পবিত্র রমজান মাসেও মুসলমানদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনারা। আজ (১৩ মে) বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, পবিত্র আল আকসায় নামাজরত মুসলমানদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে শহীদ করা হচ্ছে। মহিলা, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ কেউই তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। আমাদের উচিত ঈদে তাঁদের স্মরণ রাখা। তাঁদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের খুবই প্রয়োজন। মুসলমানদের ঐক্য ছাড়া কখনো কাফের-মুশরিকদের মোকাবিলা করা সম্ভব না। মাহে রমযান ও ঈদুল ফিতর আমাদের ঐক্যের আহ্বান করে, তাই মাহে রমজান চলে গেলেও আমাদের মাঝে যেনো রমযানের শিক্ষা অটুট থাকে।
তিনি বলেন, আলেম ওলামারা সহ হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী আজ কারাগারে। তাঁরা কারাগারে থাকায় তাদের পরিবারে আজ ঈদ আনন্দ বলতে কিছুই নেই। শুধু তাদের পরিবারই নয় বরং ওলামায়ে কেরাম জেলে থাকায় ঈদের এই আনন্দের সময়েও পুরো দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ আজ মর্মাহত, ব্যথিত। গ্রেফতার হওয়া ওলামায়ে কেরামের মধ্যে অনেকেই দেশের বড় বড় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়াতেন। তারা কারাগারে থাকায় সেসব ঈদগাহে আজ তাঁদেরকে ছাড়া ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের আনন্দের সময় দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম জেলে বন্দি থাকা এটা বড়ই দুঃখজনক বিষয়। নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমি সরকারের নিকট উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের এই নাজুক পরিস্থিতিতে লক ডাউনের কারণে গরীব-দুঃখীরা বড় কষ্টে জীবন যাপন করছে। তাদের ঘরে আজ নেই ঈদের কোন আনন্দ,খুশির আমেজ। তাই সেসব গরীব-দুঃখী, অসহায়দের মুখে হসি ফুটাতে সমাজের ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান করছি। পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ,একে অন্যের প্রতি সহনশীল এবং সংযত হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে৷ রমজান শেষ হলেও রমজানের শিক্ষাকে আমাদের বুকে ধারণ করে সামনের পথ চলতে হবে৷ আমরা যারা এখনো যাকাত-ফিতরা আদায় করিনি তারা যেনো দ্রুত তা পরিশোধ করে দিই। যাদের সামর্থ্য রয়েছে সমাজের ইয়াতিম, গরীব-মিসকিনদের ঈদের পোশাক কিনে দিবো। ঈদের আনন্দ যেনো সবার মাঝে উপলব্ধি হয় সে ব্যবস্থা করবো। ইসলাম যে মানবতার ধর্ম তা আমরা প্রমাণ করে দিব।