‘রমজানের রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হয়’

জুমার বয়ানে মুফতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী

বায়তুল মোকাররম জাতীয় সমজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী বলেছেন, রমজান উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বড় একটি নেয়ামত। রমজানের রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হয়। যে তাকওয়া জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ ও জান্নাত পাওয়ার ভিত্তি। কোন রোজাদার যদি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সাওম পালন করার জন্য হালাল পানাহার থেকে দূরে থাকে অন্য দিকে যে গুলো সব সময়ের জন্য হারাম তথা মিথ্যা, গীবত, জুলুম, সুদ, ঘুষ সে গুলো বর্জন করলো না তাহলে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সে তাকওয়ার কি অর্জন করল? এরকম রোজাদারদের ব্যাপারে রাসুলে পাক সা. ইরশাদ করেন, এমন কিছু রোজাদার আছে যাদের রোজা তাদের জন্য উপবাস ছাড়া আর কিছু নয়। জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ ও কৃচ্ছতা সাধনের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের জন্য রমজানের দিনে হালাল ভোগকেও হারাম করা হয়েছে।

পেশ ইমাম বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হওয়া মানেই আমরা কেউ রমজান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করিনি এটাই বোঝায়। কৃচ্ছতা সাধনের মাসে রোজাদার ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের এতো বেশী চাহিদা বেড়ে গেছে যে চহিদার কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতি আর নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রোজাদার ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয় পক্ষকে কৃচ্ছতা সাধনের মাধ্যমে রমজানের সাম্মানার্থে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে। রমজানকে ঘিরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রমজানের সাথে অসাধাচরণের শামিল। আল্লাহ আমাদেরকে রমজানের শিক্ষাগ্রহণ করে কৃচ্ছতা সাধনের তৌফিক দান করুন। আমীন!

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!