রমাদান মাস বান্দার আমলের প্রশিক্ষণের মাস
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, রমাদানে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার দৃপ্ত শপথ নিতে হবে। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৩)। রমাদান মাস বান্দার আমলের প্রশিক্ষণের মাস। তাকওয়া সবর, সংযম, সহনশীলতা শিক্ষা দেয় রমাদান। আজ (২৩ এপ্রিল) শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
পেশ ইমাম বলেন, রমাদানে বান্দা ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করার মাধ্যমে দুঃখী-অভাবী মানুষের দুঃখ বুঝতে সক্ষম হয়। দান-সাদকা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক স্নেহ, ভালোবাসা, মায়া-মমতা, আন্তরিকতা, দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা, ক্ষমা, পরোপকারিতা, সহানুভূতি, সমবেদনা প্রভৃতি সদাচরণ জন্মায়। আল্লাহর কাছে বান্দার মান-মর্যাদা নির্ধারণের একমাত্র উপায় তাকওয়া। এটিই মানুষের মনে সৎ ও মানবিক গুণাবলি সৃষ্টি করে। সুতরাং, যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে ভালো কাজ করতে পারলেই রোজা পালন সফল ও সার্থক হবে। এভাবে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অর্জিত প্রশিক্ষণ দ্বারা নিজেদের একজন সৎ ও খোদাভীরু নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হতে হবে। আল্লাহপাক সবাইকে কবুল করুন। আমীন!