লকডাউনে শিক্ষকদের বেতন বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন। যার ফলে বন্ধ রয়েছে সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে কি-না? এ বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি একটি প্রশ্ন করেছেন বিশ্ব বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগে।
দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে এর জবাবে বলা হয়েছে, যারা লকডাউনের প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছে কিংবা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অবস্থান করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তাহলে এই বন্ধের দিনগুলোর বেতন দিতে হবে। কেননা তারা এ বন্ধের দিনগুলোতে অন্য কোন জায়গায় চাকরি নেয়ার সুযোগ নিতে পারেননি। তাই এ সময়ে প্রতিষ্ঠানে কোন রকমের কাজ বা পড়াশোনা না করালেও বন্ধের দিনগুলোর অজিফা বা বেতন শিক্ষকদের প্রদান করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষকে খুব জোরাজরি না করা ভালো। বরং প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে টাকা জমানোর জন্য তাদের সুযোগ প্রদান করা। প্রতিষ্ঠানের টাকা আসার পরেই কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা দেয়ার আবেদন করা।
আবার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বেতন দিতে অপারগ হলে তাদের আঁটকে না রাখা। বরং যতদিন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো ততদিনের বেতন দিয়ে দেওয়া। এরপর তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বিদায় করা। তবে এক্ষেত্রে এমন সময় বিদায় করে না দেওয়া যে সময় সে অন্য কোথাও কোনো চাকুরির ব্যবস্থা করতে পারবে না বলে ধারণা হয়। বরং বিদায়ের ক্ষেত্রে তার থেকে সময় নেওয়া।
দলীল : (আদ দুরর মায়ার রদ্দ: খণ্ড নং-৯, পৃষ্ঠা নং-১১২)।
قال فی الدر: تفسخ بالقضا او الرضا ․․․․․․ وبعذر افلاس مستاجر دکان لیتجر الخ (الدر مع الرد: ۹/۱۱۲)