শহীদ আল্লামা শফীর ভক্তবৃন্দের সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ লিখিত বক্তব্য

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল ঊলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস সদ্য প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও উস্কানীদাতাদের গ্রেঢতারপূর্বক বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ভক্তবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (২ জুন) বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি.আই.পি লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শুরু হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন হাটহাজারী জামিয়ার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ। ডেইলি সিগনেচারের পাঠকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ লিখিত বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো-

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
করােনা মহামারীময় এই দুর্যোগ মুহূর্তে শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর ভক্তবৃন্দ-এর আহবানে আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদেরকে জানাচিছ আন্তরিক অভিনন্দন ও মােবারকবাদ।।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আজকের সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর দীর্ঘ তিন যুগের সফল মহা-পরিচালক, আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান, এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মুকুটহীন সম্রাট, আওলাদে রাসূল শাইখুল ইসলাম আল্লামা হােসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর অন্যতম খলিফা শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-কে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ।
এদেশের সচেতন মানুষ মনে করে যে, একটি মহল ষড়যয়ের মাধ্যমে দেশের আলেম সমাজকে পথে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। ওলামায়ে কেরামের সরলতার সুযােগে তারা ঘােলাপানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। একশাে-উর্ধ্ব বয়সী শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর ইন্তেকাল স্বাভাবিক হবে এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু আসলেই কি তাই হয়েছিল? সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে যে চিত্র দুনিয়াবাসীর সামনে এসেছে, তাতে কি বলা যায় তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে? আমরা মনে করি, শাইখুল ইসলামের শাহাদাতের বিষয়ে ওলামায়ে কেরামকে এর প্রকৃত অবস্থা উদঘাটনে এগিয়ে আসা দরকার। তা না হলে বাংলাদেশে ইসলামের ভবিষ্যত অন্ধকার।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ।
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর আগের তিন দিন হাটহাজারীতে নারকীয় তান্ডব ও ধ্বংসলীলা চালানাে হয়েছে। তার অফিস রুম ও হাটহাজারী মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের রুম ভাংচুরের ঘটনা সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যমে দুনিয়াবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। জীবনের শেষ মুহূর্তে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে অতি প্রয়ােজনীয় ওষুধ গ্রহণ করতে দেয়া হয়নি, রুমের বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, এসি-ফ্যানসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছিল, একশাে-ঊর্ধ্ব এই বয়ােবৃদ্ধ আলেমের নাতির গলায় ভাঙ্গা কাচ ধরে বলা হয়েছিল, ‘এই বুইড়া , স্বাক্ষর কর, না হয় তাের নাতিকে হত্যা করবাে।’ এ কথা বলে জোর জবরদস্তিমূলক স্বাক্ষর নিয়ে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। চাপাতি, রামদা, লাঠি, দেশীয় অন্ত্রে সজ্জিত চরম ও উগ্রপন্থীদের দিয়ে তান্ডব চালানাে হয়েছিল। এসব কিছুর পরও কি বলতে হবে, আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.এর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল? হাটহাজারী মাদরাসায় একটি চরমপন্থী উগ্রগােষ্ঠীর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সহজ-সরল ছাত্রদের উস্কানি দেওয়া হয়েছিল, সবকিছুই তাে দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার। তারপরও বলতে হবে আল্লামা শাহ্ শফী রহ.-এর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল?

আরাে জঘন্যতম বিষয় হলাে, হেফাজতের তথাকথিত বর্তমান আহবায়ক জুনায়েদ বাবুনগরী গত ২০২০ সনের ২৩ ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকদের সামনে বসিয়ে রেখে বলেছেন, হুজুরের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মাদরাসায় কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি মিথ্যাচারপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন। এই বক্তব্য বড়ই বেদনাদায়ক। তার এমন বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে তার ক্যাডারদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আড়াল করার অপচেষ্টা বলেই প্রতিয়মান হয়। দুনিয়া জানে, সেদিন অনেক সিনিয়র শিক্ষকের গলায় গামছা লাগিয়ে টানা-হেচড়া করা হয়েছে। তাদের রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করা হয়েছে। তারপরও বাবুনগরী গং কিভাবে বলেছেন, মাদরাসায় কোনাে কিছুই। হয়নি। আল্লাহ তাআলা হেফাজত করুন। আমরা তার এসব মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলতে চাই, ধোকা, অস্পষ্টতা, বিভ্রান্তি ও ধুম্রজালের আশ্রয় না। নিয়ে অবিলম্বে উলামায়ে কেরাম ও আপামর জনগণের দাবী মেনে নিন। বিকল্প পথ ও চোরাগলিতে এগুতে চাইলে এর জন্য আল্লাহর কাছে ও দুনিয়ায় চরম খেসারত দিতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর চরম বিরােধী ও বিদ্বেষীদের দ্বারা যিনি হেফাজতের কথিত আমীর হয়েছিলেন, তাকে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ মেনে নিতে পারে নি। যে কারণে তিনি জনরােষ থেকে বাঁচার জন্য তথাকথিত এই অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত ঘােষনা করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা মনে করি, কথিত হেফাজত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি পকেট কমিটি গঠিত হয়েছিল, যেখানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর মূল অনুসারী হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বিগত দিনে যারা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন, সক্রিয় ছিলেন, জীবন বাজি রেখে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে, হামলা-মামলার তােয়াক্কা না করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদেরকে পাশ কাটিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠনতন্ত্রে না থাকলেও এককভাবেই তিনি নিয়ম বহির্ভূত ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে নতুনভাবে আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের। ষড়যন্ত্রের ফাদে নিপতিত করার পাঁয়তারা করছেন। ইত্যেমধ্যেই দেশবাসী বুঝতে পেরেছে, এটি হেফাজতের কোন আহবায়ক কমিটি নয় বরং মামা-ভাগ্নের ফটিকছড়ি পকেট কমিটি। শােনা যাচ্ছে, এই আহবায়ক কমিটিই আবারও কোন কাউন্সিল না করে নিজেদের পছন্দমাফিক লােকদের। মনােনয়নের মাধ্যমে নতুন আরেকটি অবৈধ কমিটি জন্ম দেওয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করে তা ঘোষণা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘােষণা করছি, চক্রান্তের মাধ্যমে আবারও হেফাজতে ইসলামের নামে এ জাতীয় কোন অবৈধ কমিটি ঘােষণা করা হলে দেশবাসী আবারও তা ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। যারা আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর হত্যা মামলার স্বীকৃত আসামী তারা হেফাজতের কর্ণধার থাকতে পারে না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর রেখে যাওয়া আমানত হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি এবং অচিরেই দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের পরামর্শক্রমে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তার গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ইনশাল্লাহ। হেফাজতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে সব জেলা, থানা, শহর ও নগর কমিটিগুলাে নবায়ন করে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতের কমিটি পুনঃ ঘোষণা করা হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
দেশবাসী মনে করে, আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে লাঞ্ছিত করে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতনের কারণে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনের নামে সে সময় এমন ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, তখন সহজসরল ছাত্র-শিক্ষকরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে মুখ খােলার পর্যন্ত সাহস পায়নি। একটি চিহ্নিত উগগােষ্ঠি ছাত্রশিক্ষকদের জিম্মি করে মাদ্রাসায় অরাজকতা সৃষ্টি করে যে নারকীয় তান্ডবলীলা চালিয়েছিল এর ভিডিও ফুটেজগুলাে এখনাে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে বিদ্যমান। সেই উগ্রগােষ্ঠীর কয়েকশাে সদস্য এখনাে হাটহাজারীতে অবস্থান করে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি চিহ্নিত গােষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
যারা আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলেছে যে, তিনি কেন সরকারের বিরােধিতা করেন না, কেন সরকার পতনের আন্দোলন করেন না, তার অনুসারীরা সরকারের দালাল; কিন্তু যারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে, উস্কানি দিয়েছে, নিরীহ ছাত্রদেরকে বিভ্রান্ত করেছে, নিজেদেরকে সরকার বিরােধী হিসেবে উপস্থাপন করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষত কওমী অঙ্গনের ছাত্র-শিক্ষকদের বাহবা নেওয়ার জন্য সামাজিক যােগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে, আজ তারাই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্ণা দিয়ে সরকারী আনুকূল্য পাওয়ার জন্য মুচলেকা দিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে ইসলামকে জলাঞ্জলি দিতেও কুণ্ঠাবােধ করছে না। তারা আজ বক্তৃতায় সরকারকে শত বক্সর ক্ষমতায় থাকার জন্য মায়াকান্না করছে। এগুলাে কি দালালি নয়?

উদ্দেশ্য প্রণােদিতভাবে অদূরদর্শী, অপরিপক্ক ও হঠকারীমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে দেশের ওলামায়ে কেরামকে বারবার বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আজ মাহফিল বন্ধ, মাদ্রাসাগুলাে বন্ধ ও সরকারী নজরদারির আওতায়, আন্দোলনের নামে নিজেদের নেতা হওয়ার খাহেশে ইসলামকে আজ বিপদের মুখােমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.ও আন্দোলন করেছেন। আবার তিনি ফকীয়তা বজায় রেখে সরকারের কাছ থেকে ইসলামের অনেক দাবি-দাওয়া আদায় করে দেশের মুসলমানদের মাথা উচু করেছেন। তিনি কারাে কাছে মুচলেকা দিয়ে তার আন্দোলনের ভূমিকাকে কোনােকালেই খাটো করেননি। তিনি বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামকে সমুন্নত করেছেন। কোনাে বাধা-বিপত্তি তার আধ্যাত্মিক শক্তির মােকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি। তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে সম্মান জানিয়েছে, তাকে শ্রদ্ধা করেছে। এগুলাে কি আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর অপরাধ ছিল? তিনি কি এসব নিজের শ্রদ্ধা করেছে। এগুলাে কি আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর অপরাধ ছিল? তিনি কি এসব নিজের জন্য করেছিলেন? দেশ ও উম্মাহর স্বার্থে করেছিলেন। এতকিছু করার পরও একটি রাজনৈতিক গােষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেন তার সাথে এহেন অমানবিক আচরণ করা হলাে?

সুতরাং আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো:
এক.আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দাখিলকৃত মামলা ও পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

দুই. আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর পরিবারের সদস্যদের ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। যারা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিন. শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর রেখে যাওয়া সকল দ্বীনি ও সামাজিক অঙ্গনগুলাে থেকে হযরতের বিরােধীদের অপসারণ করতে হবে।

চার. অবিলম্বে দেশের কওমী মাদরাসার মক্তব ও হিফজ বিভাগ খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে কিতাব বিভাগগুলােও খুলে দিতে হবে।

পাঁচ. শান্তি-শৃঙ্খলাবিরােধী কর্মকান্ডে জড়িত নয় গ্রেফতারকৃত এজাতীয় নিরীহ, নিরপরাধ আলেমউলামাদের মুক্তি দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে সারাদেশে নিরপরাধ আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আপনারা সত্য প্রকাশে অহর্নিশ কাজ করে যাচ্ছেন। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই আপনাদের এই নিরন্তর চেষ্টা প্রচেষ্টা। সুতরাং আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা আপনারা দেখেছেন। আমাদের অনুরােধ, আপনারা সত্য উদঘাটনে অগ্রসর হােন। এক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।পরিশেষে আজকের এই সম্মেলনে কষ্ট করে আসার জন্য শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর ভক্তবৃন্দ-এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে আবারাে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও মােবারকবাদ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলন-একাংশের আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-একাংশের সহ সভাপতি ও মধুপুরে পীর মাওলানা আবদুল হামিদ, ইসলামী ঐক্যজোটর আমীর মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন, ছোট সাহেবজাদা মাওলানা আনাস মাদানী, ইসলামী ঐক্যজোটর যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগাম মহানগর সভাপতি মাওলানা মুইনুদ্দীন রুহী, সাংগঠনিক সচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, জামিয়া ইমদাদুল ঊলূম ফরিদবাদের শিক্ষক মুফতি নুরল আমিন, জামিয়া ইমদাদুল ঊলূম ফরিদবাদের মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের প্রতিনিধি ও সাহেবজাদা মাওলানা শরীফ, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানবী, মাওলানা আব্দুল জাব্বার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-অপরাংশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করীম, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈফী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী প্রমুখ। শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ বুখারী।

বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্কিত পোস্ট

Back to top button
error: Content is protected !!