শীতে পা ফাটার কারণ ও প্রতিকার
আপনি হয়তো খুবই সুন্দরী, কিন্তু এই শীতে আপনার পায়ের অবস্থা বেশ অসুন্দর। মানে, হয়তো পায়ের ত্বক অতি রুক্ষ, কিঞ্চিৎ ফেটেও গেছে গোড়ালি। তা হলে কিন্তু আপনার সৌন্দর্যে একটা বড় রকমের প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেলো। নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে গেলে আপনাকে সামগ্রিকভাবে সুন্দর হতে হবে। তাই এক্ষে একটু সচেতন হয়ে যত্ন নিলে এই শীতেও পা থাকবে কোমল ও পরিষ্কার।
পা ফাটার কারণঃ শুধু শীতেই নয়, প্রচণ্ড গরমেও পা ফেটে যায়। তেল বা ক্রিম লাগিয়ে পা’কে ফাটার হাত থেকে আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কী কারণে পা ফাটে চলুন সেটা জেনে নেই-
১. খালি পায়ে ঘোরার ফলে পায়ে এক ধরনের ফাঙ্গাস তৈরি হয়। এই ফাঙ্গাসটাই ধীরে ধীরে বেড়ে পায়ের গোড়ালিতে ছড়ায়। আর এর ফলেই পা ফেটে যায়।
২. আমরা বাড়িতে সাধারণত ঘর পরিষ্কার করার জন্য যেসব ডিটার্জেন্ট বা সাবান ব্যবহার করি তা পায়ে লাগার ফলেও পা ফেটে যায়।
৩. বেশি সময় পানিতে থাকার ফলেও পা ফেটে যায়।
৪. প্লাস্টিকের জুতা চপ্পল পরার ফলেও পা ফেটে যায়।
৫. অত্যাধিক ওজন থাকার ফলে পায়ের ওপর অত্যধিক চাপ পড়ে, সেই কারণেও পা ফেটে যায়।
৬. শরীরে ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব হলেও পা ফেটে যায়।
সুতরাং এসব বিষয় লক্ষ্য রেখে কারণগুলো এড়িয়ে চললেই পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিকারের উপায়ঃ
১. খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পা মোজা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
২. ঘরের ভেতরে মেঝেতে স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
৩. শীতকালে গোড়ালি ঢাকা ও আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন।
৪. শীতকালীন বেশি বেশি শাকসবজি খান।
৫. শীতকালে অনেকেরই পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
৬. প্রতিদিন গোসল বা অজুর সময় পা ভেজানোর পর শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।
৭. গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন মাখুন।
৮. সপ্তাহে অন্তত এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিন।
৯. গামলায় লেবুর রসমিশ্রিত হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে পা ঘষে মৃত কোষ ফেলে দিন। লেবুর রসে যে অ্যাসিটিক অ্যাসিড আছে তা মৃত কোষ ঝরাতে সাহায্য করবে। তারপর পা মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।
১০. জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।