হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী তাণ্ডব চালায় নি : মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী তাণ্ডব চালায়নি বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান। আজ (৫ এপ্রিল) সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
হেফাজতে ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসেন। এ সময় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন ক্লাবে ভাঙচুরের বর্ণনা দেন। এরপর ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি তার ওপর চালানো হামলার বিষয়টি হেফাজত ও মাদরাসা নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা বোরহার উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা নোমান হাবিবী, মাওলানা এনামুল হাসান, মাওলানা মো. জাকারিয়া, মাওলানা তানভীর আহমেদ ও মাওলানা এরশাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ।
মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। কত দুঃখ পেয়েছি সেটি প্রকাশ করার ভাষা নেই। ভাঙচুরের জন্য আমাদের কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি করা না হয়, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের কাছে তার দাবি জানাই। হরতালের দিন আমাদের নেতৃবৃন্দের অবস্থান শুধু মাদরাসার সামনে ছিল। যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের বের করে শাস্তির দাবি জানানচ্ছি। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ-ভাঙচুর করে, তারা কোনোদিন হেফাজতের হতে পারে না। আমরা সমস্ত ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাই।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারক উল্লাহ বলেন, আমার যতটুকু বিশ্বাস-আমাদের কোনো মানুষ এটি (তাণ্ডব) করেনি। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে, সেটি তদন্তের মাধ্যমে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।