হেফাজত আমিরের ইন্তেকালে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের শোক
ডেইলি সিগনেচার : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল ঊলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শিক্ষা পরিচালক এবং শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শায়খুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক জানান।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, মানুষের জন্ম ও মৃত্যু আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ তার রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যায়। বাবুনগরী (রহ.) আমাদের সময়কার খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। আদর্শবান মানুষ গড়ার লক্ষ্যে তিনি আজীবন দরস ও তাদরিসের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। আজ তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন মহৎপ্রাণ আলেমকে হারালাম। মাওলানা বাবুনগরী বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন। তাঁকে হারিয়ে আমাদেক কওমি অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। মহান আল্লাহর দরবারে দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাত নসিব করুন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানা, আল্লাহ তাআলা তাঁর সন্তান-সন্তুতি, পরিবারবর্গ, ছাত্র-শাগরেদ, ভক্ত-অনুরক্তদের শোক সইবার ও ধৈর্য্যধারণের তাওফিক দান করুন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা। ৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। এর আগে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে গাড়িতে বসেই বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।