চিত্ত-বিত্ত ও মননশীলতায় অনন্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল আজিজ মাসুক
যাদের মানবিক জীবন শুধু ভালোবাসার, ত্যাগের, যারা দিতে জানে বিনিময়ে কিছু নিতে জানে না প্রকৃত অর্থে তারাই মানুষ। যাদের অনুসরণ করলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়; সে রকম একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাসুক।
যদি কেউ অন্যের অভাব কিংবা কষ্টে নির্বিকার থাকেন, তখন লোকে তাকে নিষ্ঠুর, কৃপণ ইত্যাদি কু-বিশেষণে বিশেষায়িত করে। আবার যদি উদার হাতে এগিয়ে আসেন তখন বলে, প্রচারের জন্য করছে, নাম-লোভী। এটি বাঙালি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আমার এ লেখায় অনেকে তোষামোদ বলে ভাবতে পারেন। প্রত্যেকের নিজস্ব ভাবনার অলঙ্ঘনীয় স্বাধীনতা আছে। কারও ভাবনা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। আমার চোখে যেটি সুন্দর, মোহনীয় সেটি উচ্ছ্বসিত ভাবালুতায় প্রকাশ করতে কোন অবস্থাতে দ্বিধা করছি না।
সিলেট গহরপুর এলাকার গর্বিত সন্তান, সৌদিআরব রিয়াদ প্রবাসী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাসুক আমার প্রিয় মানুষ এবং আমার চোখে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। ১৯৯৫ সালে গহরপুর জামিয়ায় অধ্যয়নকালীন সময় থেকে তাঁর এলাকা, বাড়ীঘরে যাওয়া-আসা এবং জানাশোনা। তাই আমি তাঁকে নিয়ে আমার ভালোলাগা অনুভূতি প্রকাশ করলাম। এতে তাঁকে খুশি করতে কিংবা কারও প্রশংসার প্রত্যাশা যেমন করি না, তেমনি করি না নিন্দার শঙ্কা।
আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমের অন্যতম সদস্য ও সৌদিআরব শাখার উপদেষ্টা, জামিয়া তা’লীমুল কুরআন সিলেটের জেনারেল কমিটির সন্মানিত পৃষ্ঠপোষক প্রিয় ব্যক্তিত্বকে আমি প্রকাশ করছি আমার আনন্দের জন্য, অনুপ্রেরণার জন্য। দেখাদেখি অন্যান্য সামর্থ্যবানরা দেশ, জাতি ও ইসলামের খেদমতে নিবেদিত হতে উৎসাহিত করার জন্য। এছাড়াও লেখার আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। সেটি হল, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মায় না। সুতরাং যে যার উপযুক্ত তাকে তা দিতেই হবে।
দেশে ধনাঢ্য অনেকের কৃতকর্ম ও বর্ণাঢ্য জীবন আমাদের সামনে; তাদের কয়জনই বা সার্বিক বিবেচনা ও চূড়ান্ত বিশ্লেষণে আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাসুক ভাইয়ের মত চিত্ত-বিত্ত ও মননশীলতায় তাঁর কাছাকাছি হবার যোগ্যতা রাখেন? সে বিষয়ে আমার ভাল ধারণা আছে। যে সকল গুণ মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক তার উল্লেখযোগ্য গুণ আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাসুকে বর্তমান।
অনেকেই হয়তো ভাববেন, আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া তা’লীমুল কুরআন সিলেটের কুরআন শিক্ষা হল নির্মাণে উনি পাঁচলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে আমার এ লেখার সূত্রপাত। অস্বীকারের সুযোগ নাই; তাকে আরও বেশি করে জানতে এটাও একটি উপলক্ষ। কিন্তু আপনি কী জানেন, এ সাদামনের নিঃস্বার্থ মানুষটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ইভেন প্রবাসেও আর্তমানবতার সেবায় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন! একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। নিশ্চিত আপনিও বলতে বাধ্য হবেন, তিনি একজন যুগের হাতিমতাই এবং শ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা।
দোয়া করি, আল্লাহ যেনো আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ মাসুক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রিয় মাসুক ভাইকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করেন। নিষ্ঠার সাথে আর্ত মানবতার কল্যাণে এবং ইসলামের খেদমতে নিজেকে আরও উৎসর্গ করতে পারেন। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দেশ ও জাতির নিরংকুশ খেদমত আরও বেশি বেশি করে যেতে পারেন। রাব্বুল আলামিন তাঁর সকল আয়োজন, উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টাকে জান্নাতের বিনিময়ে কবুল করুন। আমীন।