জাগ্রত কবি মুহিব খান
আমিনুল ইসলাম কাসেমী
একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের অসাধারণ প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব কবি মুহিব খান। যার কবিতা, যার সঙ্গীত আন্দোলিত করে। যার লেখার পরতে পরতে চেতনা জাগ্রত হয়। যার কবিতায় আল্লামা ইকবাল, আল্লামা রুমি, কবি নজরুলের ঘ্রাণ উদ্ভাসিত হয়। আবেগ- ভালবাসা মিশ্রিত, হৃদয় জুড়ানো প্রতিটি উপাখ্যান । একাবিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিকালে বাংলাভাষা সাহিত্যে জাগরণ সৃষ্টিকারী এক মহান জাগ্রত কবি তিনি। এদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের মানুষ এখন। নেই ভেদাভেদ:সকলকে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়ে বীরবিক্রমে তিনি ছুটে চলেছেন।
তরুণ আলেম সমাজের মধ্যে বাংলাভাষা সাহিত্যে বিশেষ করে কাব্যে এমন জাগরণ কেউ সৃষ্টি করতে পারেনি। পবিত্র কুরআনুল কারীমের কাব্যানুবাদ, এটা ইতিহাস – ঐতিহ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্হের এমন অসাধারণ ভাবে কাব্যানুবাদ এই পৃথিবীতে বিরল। দীর্ঘসাধনা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জাতিকে বিশাল উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন। আজ বাংলাভাষী মুসলিমের মুখে মুখে মুহিব খান বন্দনা। তার কর্মযজ্ঞের প্রসংশা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে।
মুহিব খান আমাদের অহংকার। ইসলামী সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যেভাবে মরমী শিল্পি আইনুদ্দীন আল আজাদ ঢেউ তুলে দিয়েছিলেন।তেমনি কবিতা এবং ইসলামী গজল সম্রাটের মসনদে আসীন তিনি। হৃদয়ছোঁয়া তার প্রতিটি লিখনী। কাল থেকে মহাকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
কিছু অকালপক্ক মানুষ মুহিব খানকে তুলোধুনো করলেও তিনি স্বমহিমায় থাকবেন। নির্বোধলোকের সমালোচনায় তাঁর সুবিশাল কর্মেযঞ্জে কোন চিড় ধরবেনা। কথায় বলে ” কুকুরের ঘেউ ঘেউতে পূণিমার রাতের কিছু যায় আসেনা”। বাকপটু মানুষের দৌড় কিন্তু সামান্য পথ। ওরা কথার জাদু দিয়ে মানুষকে সাময়িক বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে সভ্রান্ত পরিবারের এ মহান সাধক দেশ ও জাতির সর্বজন বিদিত এবং মধ্যমণি হয়ে থাকবেন চিরকাল। আমি তাঁর সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি। আমিন।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট